স্বামী পরিত্যক্তা পাঁচ বছরের শিশু কোলে, পঁয়ত্রিশ বছর পূর্বে এসেছিল এক সকালে । পরনে ময়লা শতচ্ছিন্ন এক চিলতে কাপড়, টেনেটুনে কোনমতে ঢেকেছে গতর, হাঁটুর উপর!
নিজ সন্তানকে কোল থেকে নামিয়ে, বুকে তুলে নেয় মনিবের মেয়ে! মানুষ করে আদর –যত্ন পরিচর্যায় গড়ে তোলে, তিন বেলা ভাত-কাপড় আর সামান্য টাকার বদলে ।
আপন সন্তান অযত্নে অবহেলায় দূরে, অনাদরে দরিদ্র নানীর আশ্রয়ে ওঠে বেড়ে । আর সব বস্তিবাসী টোকাই ছেলের মতো, তারপর বড় হয়ে, মাস্তানী আর সন্ত্রাসীতে রত । এরপর একদিন কোথায় হারিয়ে যায়, একমাত্র পু্ত্রের কোনই খবর নাই!
মনিব সাহেব, বেগম সাহেব প্রয়াত হয়েছে, সেই কাজের বুয়া এখনও বেঁচে আছে! বযসের ভারে ন্যুব্জ, চোখে দেখে না, কানে শোনে না, তবুও আগলিয়ে রেখেছে মনিবের সংসার, আজও ছাড়ে না!
মনিব পুত্র-কন্যা আজ প্রবাসী ডাক্তার, যত্নেই রেখেছে, বিদেশ থেকে খোঁজ রাখে বুয়ার । সেই পঁচিশ বছরের যুবতী, নাম ছিল ফুলবানু, আর সে বৃদ্ধা কাজের বুয়া, শুধুই বুয়া বানু!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুনুর রশিদ
এরকম একজন ফুলবানুর কাছে আমিও ঋণী। ছোটবেলায় তার আদর আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়েই আমি আজ আমার আমিতে পরিণীত হয়েছি। আপনার কবিতা হৃদয়ের ভিতর থেকে সেই স্মৃতিগুলো টেনে নিয়ে আসল। ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।